Sale!

বায়োডার্মা

Original price was: 140.00৳ .Current price is: 120.00৳ .

Categories: ,

Description

বায়োডার্মা :
বিষয়ঃ ট্রাইকোডার্মা’র ব্যবহার এবং উপকারিতা।
ট্রাইকোডার্মাঃ ট্রাইকোডার্মা হচ্ছে মাটিতে মুক্তভাবে বসবাসকারি উপকারি ছত্রাক- যা উদ্ভিদের শিকড়স্থ মাটি, পঁচা আবর্জনা ও কম্পোস্ট ইত্যাদিতে অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি মাটিতে বসবাসকারি উদ্ভিদের ক্ষতিকর জীবাণু যেমন- ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ও নেমাটোডকে মেরে ফেলে। ট্রাইকোডার্মা প্রকৃতি থেকে আহরিত এমনই একটি অণুজীব যা জৈবিক পদ্ধতিতে উদ্ভিদের রোগ দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ট্রাইকোডার্মা বায়োপেস্টিসাইডটি প্রথম আবিষ্কার করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বাহাদুর মিয়া স্যার, যা ২০১৩ সালের জুন মাসে বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) ল্যাবরেটরীতে গবেষণার মাধ্যমে কৃষকদের ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হয়।
ট্রাইকোডার্মার ব্যবহার ও উপকারিতা:
১. এটি ট্রাইকো-সাসপেনশন, পাউডার এবং পেস্ট আকারে উৎপাদন সম্ভব। নিয়মানুযায়ী স্প্রে করলেই এর কার্যকারিতা পাওয়া যায়।
২. পঁচা আবর্জনায় ‘ট্রাইকো-সাসপেনশন’- এর জলীয় দ্রবণ মিশিয়ে দ্রুত সময়ে ট্রাইকো-কম্পোস্ট উৎপাদন করা সম্ভব।
৩. এটি সহজলভ্য হওয়ায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না অথবা খুব কম হবে।
৪. এর ব্যবহারে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন সম্ভব।
৫. বীজশোধনে ও মাটিবাহিত উদ্ভিদের রোগ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
৬. উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও ফসল উৎপাদনে সহায়তা করে ট্রাইকোডার্মা। এর ব্যবহারে কৃষিতে উৎপাদন ব্যয় সাশ্রয় হয়। জমিতে কোন ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না। মাটির উর্বরা শক্তি বাড়ায়। রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমায় ৪০%-৬০%।
ট্রাইকো কম্পোস্ট তৈরির পদ্ধতিঃ
ভার্মি ও ট্রাইকো কম্পোস্ট তৈরির প্রক্রিয়া প্রায় একই। তবে ভার্মি কম্পোস্ট থেকে শুধু জৈব সার পাওয়া যায়, অন্যদিকে ট্রাইকো কম্পোস্ট থেকে সার ও বালাইনাশক দুটোই মিলছে। যে কারণে এ সারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।
সাধারন কম্পোস্ট সার তৈরির নিয়মে, কম্পোস্ট তৈরি করতে হবে। এর সাথে ট্রাইকোডার্মা পরিমান মতো মিশিয়ে দিতে হবে।
ছাদ বাগানের মাটি প্রস্তুতিতে ট্রাইকোডার্মা সমৃদ্ধ উপাদান ব্যাবহার করা অতীব প্রয়োজনীয়। যা মাটিতে অবস্থিত জীবানু কে ধ্বংস করার পাশাপাশি মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। গাছ থাকে মাটিবাহিত জীবানুমুক্ত, এবং গাছের বৃদ্ধি হয় চমৎকার।
এছাড়াও টবের মাটিতে মাঝে মাঝে অল্প করে সারের মতকরে মিশিয়ে দেয়া যায়, এছাড়াও গাছে এবং মাটিতে স্প্রে করেও ব্যবহার করা যায়।
ট্রাইকোডার্মা জৈব সারের উপকারিতাঃ
১. ট্রা্ইকো-জৈব সার মাটিতে বসবাসকারী ট্রাইকোডার্মা ও অন্যান্য উপকারী অনুজীবের সংখ্যা বাড়িয়ে অনুর্বর মাটিকে দ্রুত উর্বরতা দান করে এবং ক্ষতিকর ছত্রাককে ধংস করে।
২. মাটির গঠন ও বুনট উন্নত করে পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। পানির অপচয় রোধ ও সেচ খরচ কম হওয়ার ফলে কৃষকের আর্থিক সাশ্রয় হয়।
৩. মাটির অম্লতা, লবনাক্ততা, বিষক্রিয়া প্রভৃতি রাসায়নিক বিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
৪. মাটি ও ফসলের রোগবালা্ই নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করার ফলে পরিবেশের উন্নতি ঘটে এবং বিষমুক্ত খাদ্য-শস্য উৎপাদনের সম্ভাবনাকে বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়।
৫. গাছের প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের বেশির ভাগের উপস্থিতির কারনে কমপক্ষে ৩০% রাসায়নিক সার সাশ্রয় হয় বলে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমে আসে।
৬. ফসলের উৎপাদন ও গুণগতমান বাড়িয়ে কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
উন্নত দেশের ন্যায় আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, থাইল্যান্ড, মালোয়েশিয়া ও ফিলিপাইনে ট্রাইকোডার্মা ও ট্রাইকো-কম্পোস্ট এর ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। যা আমাদের দেশেও বিশেষ প্রয়োজন। কেননা ট্রাইকো কম্পোস্ট সার প্রয়োগে একদিকে যেমন ফসলের উৎপাদন সন্তোষজনকভাবে বাড়ে অন্যদিকে মাটির উর্বরতা ঠিক থাকে এবং রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “বায়োডার্মা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *