পটল চাষাবাদ এবং এর ক্ষতিকর পোকামাকড় থেকে সুরক্ষা ব্যবস্থা

Category:

Description

পটল একটি প্রধান গ্রীষ্মকালীন সবজি। বাংলাদেশের সবজায়গাতেই পটলের চাষ হয় না। বৃহত্তর রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, কুষ্টিয়া ও যশোর জেলায় ব্যাপকভাবে পটলের চাষ করা হয়। বর্তমানে ফরিদপুর ও খুলনা জেলায় পটল জন্মে। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে যখন সবজির অভাব দেখা দেয় তখন পটল একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সবজি হিসেবে কাজ করে।

উষ্ণ ও আদ্র জলবায়ু পটল চাষের জন্য বেশি তাপমাত্রা ও সূর্যালোকের প্রয়োজন। বন্যামুক্ত ও পানি জমে না এমন বেলে দো-আঁশ বা দো-আঁশ মাটি পটল চাষের জন্য ভাল। তাই মাটি তৈরিতে সয়েল মিক্স (soil mix) ব্যবহার করতে হয়। নদীর তীরে পলিযুক্ত মাটিতেও পটল চাষ করা যায়।

অক্টোবর থেকে নভেম্বর অথবা ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পটোল রোপণের উপযুক্ত সময়। পটোল চাষের কথা চিন্তা করলে অক্টোবর মাসের আগেই জমি তৈরি করতে হবে। মাটিতে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা না থাকলে শাখা কলম শুকিয়ে মারা যায়।

প্রথমে মাটি ভালো করে চাষ দিয়ে প্রস্তুত করে নেয়া উচিত। তাই মাটি তৈরিতে সয়েল মিক্স (soil mix) ব্যবহার করলে ফল ভালো পাওয়া যায়। জমিকে ৪-৫টি আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা ও সমান করে নিতে হবে। বেড পদ্ধতিতে পটল চাষ করলে ফলন ভালো হয় এবং বর্ষাকালে ক্ষেত নষ্ট হয় না। সাধারণত একটি বেড ১.০-১.৫ মিটার চওড়া হয়। বেডের মাঝামাঝি এক মিটার থেকে দেড় মিটার বা দু’হাত থেকে তিন হাত পর পর মাদায় চারা রোপণ করতে হয়।

এক বেড থেকে আর এক বেডের মাঝে ৭৫ সেমি. নালা রাখতে হবে। মাদা বা পিট তৈরি মাদা বা পিটের আকার- দৈর্ঘ্য- ৫০ সেমি. প্রস্থ- ৫০ সেমি. গভীরতা- ৪০ সেমি. নালা- ৭৫ সেমি. মাদা থেকে মাদার দূরত্ব-১.০-১.৫ মিটার মাদায় গাছের দূরত্ব-৭.০-১০.০ সেমি. গভীরতা-৫০ সেমি. মোথার সংখ্যা ১০,০০০/হেক্টর স্ত্রী গাছপ্রতি ১০টি স্ত্রী গাছের জন্য ১টি পুরুষ গাছ সুষ্ঠু পরাগায়নের ক্ষেত্রে ১০% পুরুষ জাতের গাছ লাগানো উচিত এবং এসব গাছ ক্ষেতের সব অংশে সমানভাবে ছড়িয়ে লাগানো উচিত।

গোবর বা আবর্জনা সার ভালোভাবে পচানো দরকার। পটল দীর্ঘমেয়াদি সবজি ফসল, এ জন্য মে মাস থেকে ফসল সংগ্রহের পর প্রতি মাসেই সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন। এতে ফলন বেশি হবে। জমি তৈরির সময় জৈব সার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। তাই মাটির সঙ্গে ভালোভাবে উন্নত মানের জৈব সার, যেমন- ন্যানো মিক্স (#nanomix) ও সয়েল মিক্স (#soilmix) সার মিশিয়ে দিতে হবে। জৈব সার প্রয়োগ করলে ফলন অনেক বেড়ে যায়। কচি অবস্হায় সকাল অথবা বিকালে পটল সংগ্রহ করতে হবে । সাধারণত জাতভেদে ফুল ফোটার ১০-১২ দিনের মধ্যে পটল সংগ্রহের উপযোগী হয়।

পটোলের গাছ ও ফল বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হয়। ফলের মাছি পোকা, কাটলে পোকা, উঁই পোকা, মিলিবাগ, সাদা মাছি ও লাল মাকড় অন্যতম। এসব পোকা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হিসেবে ভালো মানের পরিবেশবান্ধব কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে, যেমন- স্টারকেল জি (starkel G), Metarhizium, Beauveria ইত্যাদি কীটনাশকগুলো এসব পোকামাকড় থেকে গাছ ও সবজির সুরক্ষায় বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “পটল চাষাবাদ এবং এর ক্ষতিকর পোকামাকড় থেকে সুরক্ষা ব্যবস্থা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *