Description
কলমি এক প্রকারের অর্ধ-জলজ উষ্ণমণ্ডলীয় লতা। একে শাক হিসাবে খাওয়া হয়। বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে আমাদের দেশে কলমি শাকের চাষ দিন দিন বাড়ছেই। গিমাকলমি সারা বছরই চাষ করা যায়। তবে চৈত্র (মধ্য মার্চ-মধ্য এপ্রিল) থেকে শুরু করে শ্রাবণ (মধ্য জুলাই-মধ্য আগস্ট) পর্যন্ত বীজ বপনের উওম সময়।
প্রথমে ৫-৬ টি চাষ এবং মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। লাইন করে এবং ছিটিয়ে উভয় পদ্ধতিতে বীজ বোনা যায়। তবে লাইনে বীজ বপন করলে যত্ন নিতে সহজ হয়। লাইন হতে লাইনের দূরত্ব ২০ সেন্টিমিটার (৮ইঞ্চি) এবং বীজ হতে বীজের দূরত্ব হবে ১৫ সেন্টিমিটার (৬ ইঞ্চি)। এক সাথে অন্তত ২টি বীজ বোনা ভালো। তবে একাধিক চারা জন্মালে ১টি রেখে বাকিগুলো কেটে দিতে হবে। শতাংশপ্রতি বীজ প্রয়োজন হবে প্রায় ৪০-৫০ গ্রাম।
কাক্সিক্ষত ফলন পেতে প্রয়োজন সুষম সার ব্যবহার। মাটির উর্বরতা বিবেচনা করে সয়েল মিক্স (#soilmix) ব্যবহার করতে হবে। এজন্য মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে সার দেয়া উওম। আর তা যদি সম্ভব হয় তাহলে সাভাবিক মাত্রায় দিতে হবে। উন্নত মানের জৈব সার, যেমন- ন্যানো মিক্স (#nanomix) ও সয়েল মিক্স (#soilmix) সার প্রয়োগ করতে হবে।
অন্য যে কোনো ফসলের ন্যায় কলমিশাকের জমিতে আগাছা জন্মাতে দেয়া যাবে না। কারণ আগাছা খাবারের সাথে ভাগ বসায়। পাশাপাশি রোগ-পোকা আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। তাই আগাছা দেখা দেয়ার সাথে সাথে তুলে ফেলতে হবে।
শুষ্ক মৌসুমে অবশ্যই সেচ দিতে হবে। বর্ষাকালে সাধারণত সেচের দরকার হয় তবে ওই সময় অনাবৃষ্টি হলে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।
কলমিশাকে কিছু পোকার আক্রমণ হতে পারে, যেমন- বিটল, বিছা পোকা, ঘোড়া পোকা। এসব পোকা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হিসেবে ভালো মানের পরিবেশবান্ধব কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে, যেমন- স্টারকেল জি (starkel G), Metarhizium, Beauveria ইত্যাদি কীটনাশকগুলো এসব পোকামাকড় থেকে গাছ ও সবজির সুরক্ষায় বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। জমি বেশি স্যাঁতসেঁতে থাকলে গোড়া পচে যেতে পারে। ড্যাম্পিং অফ রোগের কারণে এমনটা হয়। ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।
Reviews
There are no reviews yet.