Description
চরাঞ্চলের পলি মাটিতে মিষ্টি কুমড়া ভালো ফলন হয়। জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোঁ-আশ বা এঁটেল দোঁ-আশ মাটি এর চাষাবাদের জন্য উত্তম। মিষ্টি কুমড়ার জন্য মাটির সর্বোত্তম অম্ল-ক্ষারত্ব ৫.৫-৬.৮। মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাপমাত্রা কমে গেলে গাছের বৃদ্ধি কমে যায়, ফলন কম হয় । সাধারনত দো আঁশ মাটি মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। মাটির প্রস্তুতিকরণে সয়েল মিক্স (#soilmix) ব্যবহার করতে হবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বছরের যে কোনো সময় মিষ্টি কুমড়ার বীজ বোনা যায়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই উন্নত মানের বীজ বোনা জরুরি যা খুব সহজেই পিমোনা কৃষি থেকে সংগ্রহ করা যাবে। সারা বছরই মিষ্টি কুমড়া চাষ করা যায়। তবে যদি শীতকালীন ফসল হিসেবে চাষ করতে চায় তাহলে অক্টোবর মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বীজ বপন করা যায় । আর গ্রীষ্মকালীন ফসল হিসেবে চাষ করতে হলে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বীজ বপন করার উপযুক্ত সময় ।উন্নত ফলন পেতে হলে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বীজ বপন করা উচিত I
মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য শতাংশ প্রতি ২.৫ গ্রাম পরিমাণ বীজের প্রয়োজন হয়। মাদা তৈরি হতে ১০-১২ দিন পর প্রতি মাদায় ২-৩ টি বীজ মাদার মাঝখানে রোপণ করতে হবে। মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য সাধারনত এক বিঘা জমিতে ৬৫০-৮০০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়ে থাকে। এক হেক্টর জমিতে ৫-৬ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়ে থাকে। পারিবারিক ভাবে আঙিনায় চাষ করতে হলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে মাদায় তৈরি করে তাতে বীজ বপন করতে হবে। তারপর চারা বড় হলে মাচা তৈরি করে দিতে হবে বা কোন গাছের সাথে তুলে দিতে হবে।
উন্নত ফলন পেতে হলে জমিতে প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটির উর্বরতার উপর ভিত্তি করে জমিতে সার প্রয়োগ করতে হবে। জমিতে জৈব সারের পরিমান বেশি থাকা ভালো তাহলে ফসলের ফলন ভালো হয়। জমি তৈরির সময় চিচিঙ্গার জমিতে উন্নত মানের জৈব সার, যেমন- ন্যানো মিক্স (#nanomix) ও সয়েল মিক্স (#soilmix) সার প্রয়োগ করতে হবে। সার প্রয়োগ করার আগে মাটির গুনাগুন যাচাই করতে হবে। সার ভালোভাবে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। সার প্রয়োগ করার পর প্রয়োজনে জল সেচ দিতে হবে।
কুমড়া জাতীয় গাছের বিভিন্ন পোকার মধ্যে লাল পোকা, কাঁটালে পোকা এবং ফলের মাছি উল্লেখ্য যোগ্য। এসব পোকা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হিসেবে ভালো মানের পরিবেশবান্ধব কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে, যেমন- স্টারকেল জি (starkel G), Metarhizium, Beauveria ইত্যাদি কীটনাশকগুলো এসব পোকামাকড় থেকে গাছ ও সবজির সুরক্ষায় বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
মিষ্টিকুমড়া কচি অবস্থা থেকে শুরু করে পরিপূর্ণ পাকা অবস্থায় খাওয়া যায়। তাই কচি অবস্থা থেকেই ফসল সংগ্রহ শুরু হয়। কুমড়া বেশ পাকিয়ে সংগ্রহ করলে অনেকদিন ঘরে রাখা যায়। শতক প্রতি ফলন ৮০-১০০ কেজি হতে পারে।
Reviews
There are no reviews yet.