Description
ঝিঙ্গা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় গ্রীষ্মকালীন সবজি। এর প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য অংশের মধ্যে রয়েছে ০.৫ গ্রাম প্রোটিন, ৩৩.৬ মাইক্রো গ্রাম বিটা-ক্যারোটিন, ৫ মিগ্রা ভিটামিন সি, ১৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ২৭ মিলিগ্রাম ফসফরাস।
দীর্ঘ সময়ব্যাপী উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া এবং প্রচুর সূর্যালোক থাকে এমন এলাকা ঝিঙ্গা চাষের জন্য উত্তম। সুনিষ্কাশিত উচ্চ জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোঁআশ মাটি ঝিঙ্গার সফল চাষের জন্য উত্তম।
বীজ বপনের সময় ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। হেক্টর প্রতি ৩-৪ কেজি বা শতাংশ প্রতি ১২-১৫ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। তাই উন্নত মানের ঝইঙ্গার বীজ বপন করতে হবে যেমন – পিমোনা ঝিঙ্গা বীজ, ইত্যাদি।
ঝিঙ্গা চাষে সেচ ও নিকাশের উত্তম সুবিধাযুক্ত এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোক প্রায় এমন জমি নির্বাচন করতে হবে। একই গাছের শিকড় বৃদ্ধির জন্য জমি এবং গর্ত উত্তমরুপে তৈরি করতে হয়। এ জন্য জমিকে প্রথমে ভাল ভাবে চাষ ও মই দিয়ে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন জমিতে কোন বড় ঢিলা এবং আগাছা না থাকে। জমি তৈরির সময় ঝিঙ্গার জমিতে উন্নত মানের জৈব সার, যেমন- ন্যানো মিক্স (#nanomix) ও সয়েল মিক্স (#soilmix) সার প্রয়োগ করতে হবে।
বেডের উচ্চতা হবে ১৫-২০ সেমি। বেডের প্রস্থ হবে ১.২ মিটার এবং লম্বা জমির দৈঘ্য অনুসারে সুবিধামত নিতে হবে। এভাবে পরপর বেড তৈরি করতে হবে। এরূপ পাশাপাশি দুইটি বেডের মাঝখানে ৬০ সেমি ব্যাসের সেচ ও নিকাশ নালা থাকবে এবং ফসল পরিচর্যার সুবিধার্থে প্রতি দুবেড পর পর ৩০ সেমি প্রশস্ত নালা থাকবে।
মাদার আকার হবে ব্যাস ৫০ সেমি, গভীর ৫০ সেমি এবং তলদেশ ৫০ সেমি। ৬০ সেমি প্রশস্ত সেচ ও নিকাশ নালা সংলগ্ন উভয় বেডের কিনারা হইতে ৬০ সেমি বাদ দিয়ে মাদার কেন্দ্র ধরে ২ মিটার অন্তর অন্তর এক সারিতে মাদা তৈরি করতে হবে। প্রতি বেডে এক সারিতে ১৬-১৭ দিন বয়সের চারা লাগাতে হবে।
ঝিঙ্গা গাছের প্রধান শত্রু হচ্ছে বিটল পোকা। এছাড়াও গান্ধি পোকা পাতার রস চুষে খায় এবং পাতাকে রস শূণ্য করে। মাছিতে ফল নষ্ট করতে থাকে। তাই এসব ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় হতে রক্ষা পেতে এবং নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হিসেবে ভালো মানের পরিবেশবান্ধব কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে, যেমন- স্টারকেল জি (starkel G), Metarhizium, Beauveria ইত্যাদি কীটনাশকগুলো এসব পোকামাকড় থেকে গাছ ও সবজির সুরক্ষায় বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
Reviews
There are no reviews yet.